দুর্গাপুরে বিজেপি করার অপরাধে টেলারিং এর দোকানে ঢুকে তান্ডব চালালো দুষ্কৃতীরা 

নিজস্ব সংবাদদাতা ৭ মে ২০২১ দুর্গাপুর : দোকানে ঢুকে তান্ডব দুষ্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় এখন টানটান উত্তেজনা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এজোনের কনিস্ক এলাকার খোলা মার্কেটে। অভিযোগ স্রেফ বিজেপি করার অপরাধে এই তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।

অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আতঙ্কিত বিজেপি কর্মীর পরিবার এখন প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছে, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতৃত্বের। বৃহস্পতিবার রাতে এজোন খোলা মার্কেটে মনোজ সিং নামে সক্রিয় এক বিজেপি কর্মীর টেলারিংয়ের দোকানে যায় জনা দশেক দুষ্কৃতী বাহিনী, খোঁজ করেন বিজেপি কর্মী মনোজ সিংয়ের। দোকান লাগোয়া মনোজের ঘর থেকে এরপর তার স্ত্রী কিরণ সিং বেড়িয়ে কথা বলতে গেলে দুষ্কৃতীরা দোকানের শাটার খুলে ভেতরে ঢুকে টেলারিংয়ের মেশিন পত্র ভেঙে দেয়। ছুড়ে বাইরে ফেলে দেয় চেয়ার টেবিল এমনকি দামী সেলাই মেশিন। বিজেপি কর্মী মনোজ সিংয়ের ছেলে দুষ্কৃতীদের বাঁধা দিতে গেলে তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আতঙ্কিত ঐ বিজেপি কর্মীর পরিবার এরপর ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বিজেপি কর্মী মনোজ সিংয়ের অভিযোগ, বিজেপি করি বলে তার পরিবারের ওপর এই আক্রমণ, সব সেলাই মেশিন ভেঙে দেওয়ায় এখন এই লকডাউনে কিভাবে কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না বলে মনোজ বাবু । এইদিকে এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত মনোজ সিংয়ের স্ত্রী কিরণ সিংয়ের অভিযোগ, স্বামীকে এসে ঐ দুষ্কৃতীদল খুঁজছিল, না পেয়ে তারা দোকানের সবকিছু তছনছ করে দিল, এরপর এই লকডাউনে কিভাবে তারা উপার্জন করবেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না কারণ এই টেলারিংয়ের দোকানই তাদের রুজি রোজগারের একমাত্র উৎস। গোটা ঘটনায় এখন ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এজোনের কনিষ্ক এলাকায়। গত বুধবার দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরের সব রাজনৈতিক দল, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে শান্তি বৈঠকে বসেছিলেন মহকুমা শাসক অর্ঘপ্রসূন কাজী, এই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতে ফের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবার। এই ঘটনায় এবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দলের ।পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্তের দাবী যদি প্রশাসন এই ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা না নেয় তাহলে তারাও রাজনৈতিক ভাবে এর মোকাবিলা করবেন। অন্যদিকে দুর্গাপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলার রাজীব ঘোষের যুক্তি হয়তো ব্যাক্তিগত কোনো রাগকে পার্টির ব্যানারে নিয়ে চলে এসেছে, প্রয়োজনে আমি ঐ বিজেপি কর্মীর বাড়ীতে যাব, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কোনোভাবেই এইসব ঘটনার সাথে যুক্ত থাকতে পারেনা। গোটা ঘটনায় এখন দুর্গাপুরে টানটান উত্তেজনা, ঘটনা যাই ঘটে থাকুক সেলাই মেশিন দোকানের চেয়ার টেবিল ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় এখন এই লকডাউনে কি করে এই ক্ষতি সামাল দেবেন তা নিয়ে এখন ঘোর চিন্তায় সিং পরিবার, কারণ রুটি রুজির একমাত্র উৎস ছিল এই টেলারিংয়ের দোকান।

আরও পড়ুন…নন্দীগ্রামে ভোটের কারচুপি প্রসঙ্গ নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি তৃণমূল কর্মীসমর্থকদের